ধর্মীয় বিভাজন রোধ
সবার অংশগ্রহণে প্রগতিশীল ও কল্যাণময় বাংলাদেশ : ধর্ম উপদেষ্টা


সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “সবার অংশগ্রহণে প্রগতিশীল ও কল্যাণময় বাংলাদেশ গড়তে মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে নয়, জ্ঞান, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ—এটা বড় বিষয় নয়; দেশের নাগরিক হিসেবে সবাইকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধর্মীয় বিভাজন ও বৈষম্য রোধে সচেষ্ট। একই সঙ্গে সব ধর্মের মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “আবহমানকাল থেকে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছে। এর ব্যত্যয় ঘটতে দেওয়া যাবে না। তা হলে এ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাবে।”
এ সময় তিনি ঐতিহাসিক জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন, যাত্রামোহন সেন, নেলী সেনগুপ্ত ও মহিম চন্দ্র দাশের আবক্ষ ভাস্কর্য ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপু, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের দীপক কুমার পালিত, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ববিতা বড়ুয়া, বেসরকারি কারা পরিদর্শক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ভিওডি বাংলা/ আরিফ