জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার


জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এবং দলটির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর আদালতের দেওয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিএম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসেন আলম। তিনি জানান, মামলার বাদী জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ গত ২ আগস্ট মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এরপর ১১ আগস্ট মামলাটি ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বদলি হয় এবং ১২ আগস্ট বিচারক রুবায়েত ফেরদৌস মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর ফলে জিএম কাদের ও মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এখন থেকে তারা পুনরায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম জিএম কাদের ও মাহমুদ আলমের ওপর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই আদেশে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জনকে তাদের প্রাথমিক ও সাংগঠনিক পদে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দেন।
পদে পুনর্বহাল হওয়া নেতারা হলেন-ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মো. মুজিবুল হক চুন্নু, এম এ রাজ্জাক খান, সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), নাজমা আকতার (ফেনী), মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল), মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), জসীম উদ্দিন (নেত্রকোনা) এবং আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।
এর আগে, ১০ জুলাই আনিসুল ইসলাম মাহমুদের পক্ষে থেকে এই ১০ জনকে অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে জিএম কাদেরকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ ডিসেম্বর তিনি কাউন্সিলের মাধ্যমে একটি নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন, যা অবৈধ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ১০ জন নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং দলের ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম সরিয়ে ফেলা হয়।
ভিওডি বাংলা/জা