বলিউডের ৫ ট্র্যাজিক লাভ স্টোরি


যদি আপনি রোমান্টিক সিনেমার ভক্ত হন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনার মন সবসময় চায় একটি সুখী পরিণতি। তবে এমন কিছু পরিচালকও আছেন, যারা ইচ্ছা করেই এমন এক পরিণতি দেখান, যাতে দর্শক সিনেমা শেষ করার পর চোখে জল আর হৃদয়ে বিষাদের রেশ নিয়ে বের হন। কালবেলার আজকের আয়োজনে থাকছে এমনই ৫টি সিনেমার তালিকা। তবে সাবধান! এ গল্পগুলো এক নিঃশব্দ কান্নায় ভাসিয়ে নিতে পারে আপনাকে।
'অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’
২০১৬ সালে করণ জোহরের পরিচালনায় নির্মিত এই হৃদয়বিদারক রোমান্টিক ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রণবীর কাপুর ও আনুশকা শর্মা। গল্পটি একতরফা প্রেমকে কেন্দ্র করে, যা একজন পুরুষের সমস্ত সত্তাকে গ্রাস করে নেয়। আয়ান (রণবীর কাপুর) আলিজেহ ( আনুশকা শর্মা)-র সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে, যে তাকে জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে শেখায়। ধীরে ধীরে এই বন্ধুত্ব এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে আয়ান তা প্রেম বলে ভেবে ফেলে। কিন্তু একসময় তার পৃথিবী ভেঙে পড়ে, যখন জানতে পারে আলিজেহ অন্য একজনকে বিয়ে করছে।
ভাঙা হৃদয় নিয়ে আয়ান জীবনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সাবার (ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন) সঙ্গে; কিন্তু বুঝতে পারে, সে এখনো আলিজেহকেই ভালোবাসে। শেষদিকে তাদের আবার দেখা হলেও, ভাগ্য ততদিনে লিখে দিয়েছে অন্য এক করুণ পরিণতি। আলিজেহ, যে বরাবরই আয়ানকে শুধুই ভালো বন্ধু বলে মানত, অবশেষে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়—আর দর্শকদের চোখে রেখে যায় অশ্রু আর কষ্টের গভীর ছাপ।
এ সিনেমায় রণবীর ও আনুশকার পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, ফাওয়াদ খান, লিসা হেডন, ইমরান আব্বাসসহ আরও অনেকে।
‘হাইওয়ে’
২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় আলিয়া ভাটকে অপহরণ করেন রণদীপ হুদা। এরপর ছবির গল্প ঘুরে বেড়ায় সেই অপহরণের পর আলিয়ার জীবনের বদল নিয়ে। কীভাবে সে নিজের ভেতরের মানুষটাকে চিনতে শেখে, কীভাবে সে জীবনে প্রথমবারের মতো মুক্তভাবে বাঁচতে শেখে, আর এই পুরো অভিজ্ঞতার মাঝেই অপহরণকারী রণদীপের প্রতি গড়ে ওঠে তার ভালোবাসা। অন্যদিকে, রণদীপও যখন ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করে যে সেও আলিয়াকে ভালোবাসে, তখনই ঘটে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি। আলিয়াকে খুঁজতে থাকা পুলিশ এসে তাকে গুলি করে হত্যা করে।
এই ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য আপনার হৃদয় ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবে। আপনি হয়তো একটা সুখী পরিণতির আশায় বুক বাঁধবেন; কিন্তু নির্মাতা ইমতিয়াজ আলি সে আশাকে করুণ বাস্তবতায় পরিণত করে দর্শকদের মন ভেঙে দেবেন। এদিকে আলিয়া-রণদীপের ছাড়াও দুর্গেশ কুমার, প্রদীপ নগর, নয়না ত্রিবেদীসহ অনেকে অভিনয় করেছেন এ সিনেমায়।
‘লায়লা মজনু’
লায়লা ও কায়েসের গল্প শুরু হয় কাশ্মীর থেকে। যেখান থেকে তারা একে অপরকে প্রথমবারের মতো দেখে। কিন্তু একটি ভুল বোঝাবুঝি তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়, আর লায়লা অন্য একজনকে বিয়ে করে ফেলে।
বছর কেটে যায়। একসময় তারা আবার দেখা করে এবং বুঝতে পারে, তাদের ভালোবাসা আজও অটুট। কিন্তু ভাগ্যের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। গল্পের শেষটায় দুজনই মৃত্যুবরণ করে এবং শেষ মুহূর্তে একে অপরকে আর দেখা হয়ে ওঠে না।
২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সাজিদ আলি। ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অবিনাশ তিওয়ারি ও তৃপ্তি দিমরি।
‘দিল বেচারা’
এ সিনেমাটিতে ফুটে ওঠে দুজন তরুণ-তরুণীর গল্প, যারা একে অপরের প্রেমে পড়ে, যদিও মেয়েটি মরণব্যাধিতে আক্রান্ত এবং তার হাতে বেঁচে থাকার খুব কম সময় রয়েছে। এ সময় ছেলেটি ওই মেয়ের জীবন আনন্দে ভরিয়ে তোলে, তার সব ইচ্ছা পূরণ করে দেয়।
কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই ছেলেটি জানতে পারে, তার পুরোনো অসুস্থতা ফিরে এসেছে, এবং তার সময়ও ফুরিয়ে আসছে। গল্পের শেষ হয় ছেলেটির মৃত্যুতে আর মেয়েটি থেকে যায় একেবারে ভেঙে পড়া হৃদয় নিয়ে। মুকেশ ছাবরার পরিচালনায় ২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত ও সঞ্জনা সংঘী।
‘শিদ্দত’
কুণাল দেশমুখের পরিচালনায় নির্মিত এ সিনেমায় দেখা যায়, গল্পটি এক ছেলেকে নিয়ে, যে তার কলেজের এক মেয়ের প্রেমে পড়ে। পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর মেয়েটি লন্ডনে চলে যায়।
এরপর গল্পটি এগোতে থাকে ছেলেটির লন্ডনে যাওয়ার সংগ্রাম ঘিরে। যেখানে সে ভিসা না পেলেও নানা উপায়ে পৌঁছাতে চায় মেয়েটির কাছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে, মেয়েটির সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, যা বদলে দেয় সবকিছু।
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ চলচিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সানি কৌশল ও রাধিকা মদন।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে রাতুল আর নেই
চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে এবং ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, বেজিস্ট এ কে …

সোনাক্ষীর সঙ্গে প্রথম ডেটেই হতাশ জহির!
সাত বছরের প্রেমের পর রাজকীয় বিয়েতে বাঁধা পড়েন সোনাক্ষী সিনহা …
