• ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনের প্রার্থীদের গণসংযোগ শুরু

   ২৫ জুলাই ২০২৫, ০২:২৪ পি.এম.

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনটি মূলত ভোট যুদ্ধে লড়াই হবে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর মধ্যে। দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন মাঠে ব্যস্ত গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা আর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে।  ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনেও আসনটি বিএনপির দখলে ছিল।২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির শোকরানাকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রয়াত আবদুল মান্নান বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলামকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আবদুল মান্নান। ২০১৯ সালে তাঁর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী সাহাদারা মান্নান সংসদ সদস্য হন।ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে এই নির্বাচনি এলাকায় একক প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন। গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। অন্যদিকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে সম্ভাব্য ডজন খানেক প্রার্থী বিএনপির গণসংযোগে  ব্যস্ত ।
 
মনি পঞ্চায়েত কল্যাণ ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান শিল্পপতি  আলহাজ মহিদুল ইসলাম রিপন,জিয়া পরিবারের প্রতি অনুপ্রণিত হয়ে বগুড়া জেলার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার অসহায় ,দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের পাশে থেকে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ ও  মতবিনিময় সভা করছেন। বন্যায় ত্রাণ বিতরণ, অসহায় মানুষ পাশে দাঁড়ানো, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করে আছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের বহু মামলা হামলার আসামিদের জামিনসহ মামলা পরিচালনার দায়িত্ব¡ পালন করেছেন নি:স্বার্থেভাবে।

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম টিটু বন্যা ও শীতে দুই উপজেলার গরিব অসহায় ও অসুবিধা বঞ্চিত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী সহায়তা  করেন। অসচ্ছল পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে লেখাপড়ার চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম সহায়তা প্রদান করেন।  ২ উপজেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

সোনাতলা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম  আহসান তৈয়ব জাকির ২০১৯ সালে আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান এবং দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে নির্বাচন বর্জন করেন ।  
১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ডা. হাবিবুর রহমান এমপি থাকলেও পরবর্তীতে ২০০১ সালে কাজী রফিকুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি । নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এছাড়াও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী  হিসেবে মাঠে আছেন, সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান মাসুদুর রহমান হিরু মন্ডল,জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন রবি, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুন নবী সালাম, অধ্যক্ষ এএসএম রফিকুল ইসলাম,কর্নেল (অব.) জগলুল আহসান,   জেলা ড্যাব নেতা ডা. শাহ্ মো. শাহজাহান আলী,  সাবেক মহিলা এমপি মমতাজ বেগম নির্বাচনি এলাকায় বেশ সরব। তারা গণসংযোগের পাশাপাশি ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে করে চলেছেন।

ভিওডি বাংলা/ এমএইচ

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নেত্রকোণায় ১১০বোতল ভারতীয় মদসহ আটক ২
নেত্রকোণায় ১১০বোতল ভারতীয় মদসহ আটক ২
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম-আমিনুর ইসলাম
নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম-আমিনুর ইসলাম
বিএনপি কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে হত্যার অভিযোগ
বিএনপি কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে হত্যার অভিযোগ