পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে ইরান: ব্লিঙ্কেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ান আমানপুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইরান এখনো “ওয়েপনাইজ” করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু এখন আশঙ্কা আছে, তারা তাদের কর্মসূচি মাটির অনেক গভীরে নিয়ে যেতে পারে এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ বেছে নিতে পারে।’
তার ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ইরানের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে কূটনৈতিক সমঝোতার একটি নতুন সুযোগ বলেও দেখছেন তিনি। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তেহরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচিকে অস্ত্রীকরণে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আগের তুলনায় আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।’
ব্লিঙ্কেন জানান, গত ২২ জুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ইসরাফান, নাটাঞ্জ এবং ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় দূরপাল্লার বোমারু বিমান ও সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ব্যাপক হামলা চালায়। ট্রাম্প এই অভিযানকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ‘ধ্বংস’ বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এবং আগের প্রশাসনগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সামরিক হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ দুই বছর পিছিয়ে দিতে পারে—হয়তো এর চেয়েও কম সময়ের জন্য। এই সময়ে ইরান তাদের কর্মসূচি আরও গোপনে এগিয়ে নিতে পারে এবং তারা এতদিন যে সিদ্ধান্ত নেয়নি, সেই অস্ত্র তৈরির সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে।’
ব্লিঙ্কেন স্মরণ করিয়ে দেন, বাইডেন প্রশাসন ইরানকে আবারও পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে কাজ করেছিল, কিন্তু দুই বছর ধরে চলা পরোক্ষ আলোচনা কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনেনি।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার আগে ইরান ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এক শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা শুরু করার প্রস্তাব। ব্লিঙ্কেন মনে করেন, ‘তারা চাইলেই এ ধরনের প্রস্তাব আবার টেবিলে আনতে পারে। আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন তার কাঙ্ক্ষিত উত্তম চুক্তি করার সুযোগ পেয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে আলোচনায় বসার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিল। কিন্তু ৬১তম দিনেই ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে আকস্মিক সামরিক অভিযান শুরু করে।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের একাধিক সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ইরানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাসহ শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়, যাতে অন্তত ২৭ জন ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারান।
ভিওডি বাংলা/ডিআর
গাজায় ত্রাণকেন্দ্রে ভিড়ে প্রাণ গেল ২০ জনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকায় একটি ত্রাণকেন্দ্রে ভিড়ের …

মস্কোতে হামলা না করার পরামর্শ ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি যদি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে …

নিজস্ব দল গড়লেন ইমরানের সাবেক স্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম …
