তাড়াশে ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক


চলনবিল প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত দেড় মাসে ১৫টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এসব ট্রান্সফরমার কৃষিকাজে ব্যবহৃত সেচ পাম্পের, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। সর্বশেষ সোমবার রাতে উপজেলার তালম ইউনিয়নের রোকনপুর ও কুন্দাশন গ্রামে ফসলী মাঠের বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্র থেকে মূল্যবান দুই টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে। এ নিয়ে গত দেড়মাসে ১৫ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় কৃষক পল্লী বিদ্যূৎ বিভাগের গাফিলাতি কে দায়ী করেছেন।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে উপজেলার তালম ইউনিয়নের রোকনপুর ও কুন্দাশন গ্রামের ফসলী মাঠ থেকে সর্বশেষ চুরির ঘটনা ঘটে। কুন্দাশন গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন ও রোকনপুর গ্রামের আলামিন হোসেনের ক্ষুদ্র সেচ পাম্প থেকে চোরেরা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার দুটি চুরি করে নিয়ে যায়।
এর আগে গত ৮ই জুলাই রাতে পাড়িল বড়ইচড়া গ্রামের কৃষক হায়দার আলী,আব্বাস আলী ও কাদের হোসেনের ৫ ও ১০ কেভির মোট ৩ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়।
এসব চুরি ঠেকাতে তাড়াশ থানা পুলিশ বলছেন , তারা তৎপরতা চালাচ্ছেন। অপরদিকে পল্লী বিদ্যূতের পক্ষ থেকে কৃষকদের সচেতন হোতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কৃষকের অভিযোগ পল্লী বিদ্যূতের গাফিলাতির কারণে এসব ট্রান্সফরমার চুরি ঘটনা ঘটছে। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপজেলার বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্রের মালিকেরা। পাশাপাশি চুরির ফলে তারা আর্থিক ক্ষতি সহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন।
প্রতি বছর বোরো মৌসুম শেষ হওয়ার পর তাড়াশ উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন এবং একটি পৌর এলাকার গণহারে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হলেও প্রতিকার পান না কৃষক। অথচ যে সকল কৃষকের ট্রান্সফরমার চুরি হয়, তাদের নিয়ম মেনে আবারও মোটা অংকের টাকা খরচ করে ট্রান্সফরমার কিনতে হয়। আবার তা সেচযন্ত্রের পোলে তুলতে পল্লী বিদ্যুত সমিতির নিয়ম মানতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা, হররানীর সম্মুখীন হতে হয় এমন অভিযোগ ভুক্তভোগি কৃষকদের।
তালম গ্রামের বাসিন্দা মো: ইদ্রিস আলী, বৃপাচান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার সেচ প্রকল্পের পোলে তুলতে ও নামাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিয়ম মেনে নির্দৃষ্ট পরিমান বিল শোধ করতে হয়। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা কাজটি সম্পন্ন করে। পল্লীবিদ্যূৎ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মাঝে কাগজ চালাচালি করতে দুই সপ্তাহ থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। এই সুযোগে অরক্ষিত এসব বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোরেরা নির্বিঘে চুরি করে নিয়ে যায়। আর এ ক্ষতির সম্পূর্ণ দায় নিতে হয় কৃষককে।
ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়া কৃষকদের আসন্ন রোপা আমনের আবাদ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এমনটাই জানিয়েছেন কৃষক হায়দার আলী। তিনি আরো জানান, বর্তমানে বোরো ধান কাটার পর রোপা আমনের আবাদের জন্য এখন বীজতলা তৈরীর কাজ চলছে। কিন্তু পল্লী বিদ্যূতের দীর্ঘসূত্র প্রক্রিয়ায় ট্রান্সফরমার চুরি যাওয়ায় আমাদের শত শত বিঘা জমিতে রোপা আমনের আবাদ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কেননা নতুন করে বৈদ্যুতিক সেচযন্ত্রের ট্রান্সফরমার কিনতে হবে। আবার তা তুলতে পল্লী বিদ্যুত অফিসে ঘুরতে ঘুরতে প্রায় মাস খানেক সময় লাগতে পারে। ফলে বীজতলা, জমি চাষে সেচ সংকটে পড়ে গেছি ।
তাড়াশ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শামসুজ্জামান জানান, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে কৃষকদের সচেতন হতে হবে। পল্লী বিদ্যূৎ অফিসে কৃষকদের হয়রানির বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদুৎ সমিতি-১ সিনিয়র জেলারেল ম্যানেজার আবু আশরাফ মো: সালেহ বলেন, পল্লী বিদ্যূতের গাফিলাতির বিষয়টি ভিত্তিহীন। চুরি তো সারা বছরই হয়। আমরা গ্রাহককে সচেতন হতে বলি, থানায় মামলা করি।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান জানান, ট্রান্সফরমার চুরির বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আমাদের পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। বিভিন্নভাবে আমাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
দৌলতপুর আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে পানি …

বাঁশখালীতে ইয়াবা পাচারের সময় জামায়াত নেতাসহ আটক ২
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ডোংরা গণকবর এলাকা থেকে …

ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা নিধন
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা প্রশাসন হাট বাজার ও …
