চাঁদা সংগ্রহের ভিডিওকে ‘অনুদান সংগ্রহ’ বললেন এনসিপি নেতা


নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ যখন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করছে ঠিক তখনই নিজ দলের এক নেতার চাঁদা সংগ্রহের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলো। বিএনপিকে লক্ষ্য করে কয়েকদিন ধরেই নাহিদ, হাসনাত, সারজিসসহ এনসিপির নেতারা সরব। এমন সময় এই ভিডিও শুধু এনসিপিকে বিব্রত করেনি, এনসিপির ভক্তরাও হতাশা প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টাকা নেওয়ার ভিডিওটি ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় এক নেতা এক নারীর কাছ থেকে নগদ সাত লক্ষ টাকা গ্রহণ করছেন। ওই নারী দশ লক্ষ টাকা দিতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশও করছেন। তবে অভিযুক্ত এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদ দাবি করেছেন, ওই নারী এনসিপিতে টাকা অনুদান দিয়েছেন, তার কাছ থেকে কোনো চাঁদাবাজি করা হয়নি।
এ ঘটনা নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। তিনি লিখেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের এক কেন্দ্রীয় নেতা এক মহিলাকে প্রজেক্টে কাজ দেওয়ার কথা বলে ৪৮ লাখ টাকা নিয়েছে। তারপরও তারে কোনো কাজ দেয়নি। মহিলা টাকা দেওয়ার ভিডিও ফাঁস করে দিয়েছে। আপনারা বয়সে ছোট, নতুন রাজনীতিবিদ। ভুল অবশ্যই করবেন, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলো তো ভুল না। বাটপারি!
তিনি পোস্টে আরো বলেন, বড় বড় দুর্নীতিবাজ পলিটিশিয়ানদের দেখবেন, অনেকেই দুই নম্বরি পন্থায় আকাম কুকাম করলেও পার্টির মানে যাদের কাজ দিবে বলেছে, তাদেরকে কাজ করে দেয়। তাই কারো টাকা খাইলে দয়া করে কাজটা ঠিক করে দিবেন। আপনাদের মূল পেশা হইলো তদবিরবাজী। এইসব দালালি পেশায় বাটপারি করতে হয় না। করলে ধরা খাইতে হয়।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন একজন নারীর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহণ করছেন। তখন ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে সাত লাখ টাকা, ১০ লাখ থাকার কথা ছিল ভাইয়া। একটু ক্রাইসিস বুঝেন না!’ এ সময় সাত লাখ দেওয়ার বিষয়ে এনসিপি নেতা বলেন, ‘ভাইকে বলছেন?’ জবাবে নারী বলেন, ‘হ্যাঁ বলেছি’।
টাকা নেওয়ার ভিডিওটি ভাইরালের পর নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদ ইমন। তিনি দাবি করেছেন, ওই নারী স্বেচ্ছায় দলে আর্থিক অনুদান দেন। এর আগেও তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দিয়েছিলেন।
ইমন বলেন, ‘ঘটনাটি যে দিনের সেদিন সন্ধ্যায় সেই মহিলা পার্টি ফান্ডে ১০ লাখ টাকা দিবে বলে পার্টির পক্ষ থেকে একজনকে পাঠাতে বলে। পার্টির পক্ষ থেকে সেই ফান্ড সংগ্রহের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। আমি আমার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে ফান্ডটি কালেক্ট করে কোষাধ্যক্ষের কাছে জমা দেই। আমি পার্টির একজন সদস্য হিসেবে শুধুমাত্র আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি, এর বেশি কিছুই নয়।’
ভিওডি বাংলা/ডিআর
মবকে যারা মদদ দিয়ে ছিল, তারা এখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না : জি এম কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, মবের …

ইসলামের নামে লেবাসধারী দল অপপ্রচারে লিপ্ত: রিজভী
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অতীতের …

সংসদে নারী আসন ও উচ্চকক্ষ নিয়ে যে মতামত দিলো বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংসদে …
