‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হলে’ নির্বাচনের চিন্তা করবে জাতীয় পার্টি


নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে চলমান ‘মব সন্ত্রাস’ না থাকলে, আর সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হলে জাতীয় পার্টি (জাপা) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা চিন্তা করবে বলে জানান দলটির নবনিযুক্ত মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে না বলে আশঙ্কা রয়েছে তার।
শামীম পাটোয়ারী বলেন, জাপার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বারবার আঘাত আসছে, তবু নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু জাপার রাজনীতি নিষিদ্ধ (ব্যান) করেনি, তাহলে ভোটে অংশ নিতে নিষেধ করবে কীভাবে? জাপার রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা না দিলে ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে।
জাপা মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টিকে নিয়ে অনেকেই হীন রাজনীতি করছে, একঘরে করার চেষ্টা করছে, রাজনীতির মাঠের বাইরে রাখার প্রয়াস হচ্ছে। তবে এ প্রয়াসগুলো সফল হবে না, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, জাপা সঠিক পথই বেছে নেবে। তবে এ বিষয়ে তৃণমূল ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই দলের চেয়ারম্যান চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, রাজনৈতিক সরকারের মতো এই অন্তর্বর্তী সরকারের তো কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তারা দ্রুত সংস্কার করতে পারত, কিন্তু তা না করে তারা দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা, হন্টেড মেমোরিতে (মূলত জুলাই-আগস্টের স্মৃতি রোমন্থন) মনোনিবেশ করেছে। দেশ গঠনের একটি সুবর্ণ সুযোগ ছিল, যা তারা হারিয়ে ফেলেছে, খুবই দুঃখজনক। এ রকম সুযোগ এক যুগ, দুই যুগ পরে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার সব দলের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে পারত, কিন্তু তা তারা করেনি। এমনকি আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যেও ঐক্য ধরে রাখতে পারেনি। অন্তর্বর্তী সরকার এত দলকে বাদ দিয়ে যে ঐকমত্য গঠন করতে চাচ্ছে, সেই ঐকমত্য তো মোটেও টেকসই হবে না।
তিনি বলেন, জাপা এই মুহূর্তে শুধু নিজের রাজনীতি নিয়েই ভাবছে। অতীতের সুবর্ণ ইতিহাস আর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরবে। এর মাধ্যমে জাপা চেষ্টা করবে মানুষকে আকৃষ্ট করতে। এই মুহূর্তে কোনো জোটে জাপার ইচ্ছা নেই। তবে দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
পুরোনো লোকদের দলে ফিরিয়ে আনার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, যে বা যারা নব্বইয়ের দশকে দলের ব্যানারে এমপি হয়েছিলেন, চেয়ারম্যান ছিলেন কিন্তু তারা পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন, এমন ব্যক্তিদের দলে সক্রিয় করে ফিরিয়ে আনা হবে। এসব জনপ্রিয় কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীকে ফিরিয়ে আনব। তৃণমূলের যেসব শাখায় এখনো কোনো কমিটি করা হয়নি তা পূরণ করাই প্রথম লক্ষ্য, যে যে শাখায় পুরোনো শক্তিশালী লোক আছে তাদের দায়িত্ব দেব। এর মাধ্যমে দলের কর্মকাণ্ড বেগবান হবে।
বহিরাঙ্গন কর্মসূচিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কারও কর্মসূচি পালনে বাধা দিই না, তবে আমাদের কর্মসূচিতে কেউ কেউ বাধা দিচ্ছে যা তৃণমূল প্রতিহত করছে। সামনের দিনগুলোতে কেউ বাধা দিলে নেতাকর্মীরা নিশ্চুপ থাকবে না, প্রতিবাদ করবে, প্রতিহত করবে।
তিনি বলেন, আসলে কেন তারা চেয়ারম্যানকে বাদ দিতে বিকল্প সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন, বিকল্প বৈঠক করেছিলেন তা এখনো বোধগম্য নয়। এর পেছনে কোনো যোগসাজশ থাকতে পারে। জি এম কাদের যেহেতু বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচক, এজন্য তাকে অপদস্থ করে কেউ ভাবতে পারেন যে, সে বা তারা সরকারের আনুকূল্য পাবেন; কিন্তু রাজনীতির অঙ্ক বলে, এটা সঠিক হবে না।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
ইশরাককে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পুরান ঢাকায় …

দলীয় নেতা-কর্মীদের সংযত আচরণের পরামর্শ ইশরাকের
দলীয় নেতা-কর্মীদের আরও সংযত আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র …

গণতন্ত্রবিরোধীদের ‘রাজনৈতিক দল’ বলা যায় না : আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,“যারা নির্বাচনকে …
