মাদারীপুরে বিতর্কিত ও মেরুদণ্ডহীন আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে
ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি


ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসরদের পূনর্বাসন, জুলাই আন্দোলনে খুনী আসামীদের পক্ষ নেয়া ও দালালী -চাঁদাবাজি এবং জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠন প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অর্থের বিনিময়ে গঠনের অভিযোগে অযোগ্য, বিতর্কিত ও মেরুদণ্ডহীন মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নির্যাতিত, ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন জেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মী।
দলীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে ২০১৯ সালের ২২ জুন গঠিত হয়েছিল মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। তিন মাসের জন্য গঠিত এই কমিটি আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে চরম হতাশা, দলীয় কার্যক্রমে নেমেছে স্থবিরতা, আর জেলা জুড়ে বেড়েছে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা।
৪৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন, অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। দলীয় কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম কার্যত থমকে গেছে। তবুও কেন্দ্রীয় বিএনপি এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি, এমন অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কিন্তু সেই কমিটিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে করে দেখা দেয় তীব্র অভ্যন্তরীণ বিরোধ। শুরু হয় সংঘর্ষ, বোমাবাজি ও সহিংসতা।
সবচেয়ে বড় উত্তেজনা ছড়ায় সদর উপজেলার শ্রমিক দলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগের এক নেতাকে পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি করার উদ্যোগ নেওয়ায় দলে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জেরে রোববার (২৩মার্চ) কুপিয়ে হত্যা করা হয় উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুন্সিকে।
এছাড়াও জেলা বিএনপির বিভিন্ন অংশে দলীয় ব্যানারে চাঁদাবাজি, অনিয়ম ও কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্বের অভিযোগও উঠেছে। এসব ঘটনায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক ভীত ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
এই অবস্থায় জেলা বিএনপির ২৯ জন নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছেন, অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ, সক্রিয় ও গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না করলে দলের অস্তিত্ব এই জেলায় সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, “দলের অভ্যন্তরে যারা অনৈতিক উপায়ে ক্ষমতা ভোগ করছেন, তারা আসলে বিএনপিকে নয়, নিজেদের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। এদের সরানো না গেলে আগামীর আন্দোলনে জেলার ভূমিকা শূন্য হয়ে যাবে।”
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলের আভ্যন্তরীণ এই সংকট সমাধানে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ ছাড়া বিকল্প নেই।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসরদের পূনর্বাসনে সহোযোগিতা, দালালী, চাঁদাবাজি ও দলীয় নেতাকর্মী খুনের মদতদান নানা অভিযোগে যুক্ত সহ দলীয় সাংগঠনিক স্থবিরতা, অর্থের বিনিময়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ বিতর্কিত ও মেরুদণ্ডহীন আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মী।
ভিওডি বাংলা/ এমএইচ
দোকান মালিককে হত্যার ঘটনায় বিএনপির ৫ জন বহিষ্কার
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপির কার্যালয়ের ভাড়া চাওয়ায় জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া (৫৭) নামের …

কুমিল্লায় আসিফ ও কায়কোবাদ অনুসারীদের সংঘর্ষ, আহত ৬৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা …

আ’ লীগ আমলে পাশের দেশের ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয়েছে- সি আর আবরার
আওয়ামী লীগ আমলে বিশেষ একটি দেশের প্রতিনিধিরা এসে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ …
