সাংবাদিক এহসান মাহমুদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিক ও লেখক এহসান মাহমুদকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচারের আমলে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের চাপে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন এহসান মাহমুদ।
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিভিন্ন নির্যাতনের মুখে পড়লে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম আমি ব্যক্তিগতভাবে। সেই সময়ে সুইডেন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা নেত্র নিউজ এহসান মাহমুদকে চাকরি দিয়ে এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিলে তখন তাকে দেশান্তরী হতে হয়নি।
আরও পড়ুন : বিএনপির অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা থেকে সরিয়ে দেয়া হলো এহসান মাহমুদকে
জুলাই আগস্ট এর আন্দোলনের পূর্বেও গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে, রাজপথে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি সভা সেমিনারের আয়োজনের উদ্যোক্তাও ছিল এহসান মাহমুদ। এহসান মাহমুদ জুলাই আগস্টে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে লেখালেখি ও রাজপথে সোচ্চার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত এই প্রচারণার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মঙ্গলবার (১জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
এদিকে চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির অনুষ্ঠানের একজন উপস্থাপককে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। এহসান মাহমুদ নামে একজনকে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থাপনা করতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ থাকেন বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা। তারা এহসান মাহমুদকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার আপত্তি জানান। পরে তাকে আর মঞ্চে উঠতে দেয়নি আয়োজকরা।
মঙ্গলবার (১জুলাই) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। এরআগে বেলা ৩ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াললি যুক্ত হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরআগে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
সভাপতিত্ব করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবার সদস্যরা। অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন তিনজন বাকি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন। যার মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, আরেকজন সাংবাদিক এহসান মাহমুদ। পরে অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব আবুল হোসেন। এরপরই ডায়েসের সামনে এসে এহসান মাহমুদ এক মিনিট নিরবতার ঘোষণা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এহসান মাহমুদ মঞ্চে উঠে কথা বলতেই সামনে থেকে সাংবাদিকরা সমস্বরে ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিস্ট বলে আপত্তি জানান। নেতাকর্মীরাও তাকে মঞ্চে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
পরে আপত্তির কথা শুনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অন্য নেতারা দাঁড়িয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কানেও চিৎকার পৌঁছায়। এরপর এহসান মাহমুদকে উপস্থাপনা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য উপস্থাপনাতে জায়গা পাওয়া বাকি দুজনের বিরুদ্ধেও স্বৈরাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।
ভিওডি বাংলা/ এমপি
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বিভক্তি সৃষ্টি করবে কিনা ভেবে দেখুন: তারেক রহমান
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থা বিভক্তি সৃষ্টি করবে কিনা …

যেকোনো মূল্যে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে: খালেদা জিয়া
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে ‘ঐক্য বজায় রাখা’র আহ্বান …

গণতন্ত্রের ব্যাপারে ছাড় নয়: ফখরুল
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা …
